Header Ads Widget

হত্যা মামলা তদন্তে আদালতের নির্দেশে ১৪ মাস পর কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ

প্রথম আলো প্রতিনিধি :বিরামপুর, দিনাজপুর 

দিনাজপুরের হাকিমপুরে হত্যা মামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মরদেহ। বুধবার দুপুরে বোয়ালদাড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর কাঁকড়াপালী গ্রামে
দিনাজপুরের হাকিমপুরে হত্যা মামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মরদেহ। বুধবার দুপুরে বোয়ালদাড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর কাঁকড়াপালী গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের হাকিমপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি হত্যা মামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর ১৪ মাস পর হাবিবুর রহমান (৬১) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর বোয়ালদাড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর কাঁকড়াপালী গ্রামের একটি পারিবারিক কবরস্থান থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

নিহত হাবিবুর রহমান ওই গ্রামের মৃত জাফর উদ্দিনের ছেলে। গত বছরের ২৩ মে নিহতের মেয়ে ববিতা খাতুন বাদী হয়ে দিনাজপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল আদালতের বিচারক মামলার তদন্তের জন্য হাবিবুর রহমানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আজ বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের উপস্থিতিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দিনাজপুর সিআইডির উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকজনের সহযোগিতায় কবর থেকে হাবিবুর রহমানের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

সিআইডি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের এপ্রিল মাসে জমিজমা নিয়ে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর ভাগনে মনোয়ার হোসেনের বিরোধ দেখা দেয়। পরে গত বছরের ২৩ এপ্রিল বেলা একটার দিকে স্থানীয় ভূমি জরিপকারী দিয়ে ওই জমি মাপজোখ করে জমির সীমানায় খুঁটি দেন হাবিবুর রহমান। এ সময় তাঁর ভাগনে মনোয়ার হোসেন বাধা দেন। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে, ভূমি জরিপকারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেন। এ সময় হাবিবুর রহমান বাড়ির সামনের একটি দোকানে নাশতা করেন। পরে তিনি অসুস্থ হলে পরিবারের লোকজন তাঁর মাথায় পানি ঢালেন, সেখানেই তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় হাবিবুর রহমানের মেয়ে ববিতা খাতুন বাদী হয়ে মনোয়ার হোসেনসহ চারজনকে আসামি করে গত বছরের ২৩ মে দিনাজপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ওই বছরের ১২ জুন দিনাজপুর আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডি দিনাজপুরকে নির্দেশ দেন। তদন্ত চলাকালে সিআইডির পক্ষ থেকে হাবিবুর রহমানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করা হয়। পরে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল দিনাজপুর আদালত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে হাবিবুর রহমানের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডি দিনাজপুরের উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, মামলা তদন্তের অংশ হিসেবে আদালতের নির্দেশে আজ দুপুরে পারিবারিক কবরস্থান থেকে হাবিবুর রহমানের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহ বিকেলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেটি আদালতে পেশ করা হবে।

Post a Comment

0 Comments